সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
পবিপ্রবি প্রতিনিধি॥ উৎসবমুখর পরিবেশে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(পবিপ্রবি) ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় মনোরম সাজে। ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
কালো গাউন পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করে। দিনভর ছবি তোলা, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, হৈ চৈ ও কোলাহলে মাতে সবাই। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. আবদুল হামিদ আরো বলেন, একবিংশ শতাব্দী তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। আমি মনে করি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পাঠ্য কারিকুলাম যুগোপযোগী করে সাজাবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে তোমরা আজ কর্মজীবনের পথে পা বাড়াচ্ছ। মনে রাখবে, কর্মজীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বিক্ষুব্ধ তরঙ্গের ন্যায়। তোমরা তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সেই ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পথ পাড়ি দেবে। এ সমাজ ও দেশ তোমাদের অনেক দিয়েছে। তাই দেশ ও সমাজের প্রতি তোমাদের দায়িত্ববোধ অনেক। মেধা ও কর্মের মাধ্যমে তোমরা এ মাতৃভূমির কল্যাণ করবে, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরবে উজ্জ্বলভাবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ। দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে মোট ৩ হাজার ৭০৬ জনকে ডিগ্রি প্রদান করেন। এর মধ্যে শিক্ষাজীবনে অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
Leave a Reply